চকরিয়া অফিস :
পেকুয়া উপজেলা আনসার ও ভিডিপি’র কর্মকর্তা তছলিমা আক্তারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও বাদীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে আদালতের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিচ্ছেন। এভাবে তার মিথ্যা প্রতিবেদনে অনেক নিরহ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
পেকুয়া উপজেলার মগনামার বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী আবুল তালেব জানান, পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া নতুনঘোনা এলাকার মৃত হাজী নুরুল ইসলামের পুত্র মোহাম্মদ সেলিম গত ২০ এপ্রিল চকরিয়া উপজেলা জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তার বিরুদ্ধে একটি নালিশী মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তে করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পেকুয়া উপজেলা আনসার ও ভিডিপি’র কর্মকর্তা তছলিমা আক্তারকে নির্দেশ দেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে না জানিয়ে একতরফাভাবে একটি প্রতিবেদন জমা দেন আদালতে।
তিনি বলেন, সৌদিয়া আরবের মিমাংশিত বিষয়টি তদন্তকারী কর্মকর্তা উভয়পক্ষকে না জানিয়ে কীভাবে তদন্ত করলো তা আমার বোধগম্য নয়। মুলত, তদন্তকারী কর্মকর্তা মোটা অঙ্কের বিনিময়ে তার বিরুদ্ধে গত ১৮জুন প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তছলিমা আক্তার বাদি মোহাম্মদ সেলিমের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হয়। সেই কারণে প্রতিবেদনটি বাদির পক্ষে দিয়েছেন ?
আবু তালেব আরও জানান, পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া নতুনঘোনা এলাকার মৃত হাজী নুরুল ইসলামের পুত্র মোহাম্মদ সেলিম দীর্ঘদিন ধরে সৌদিয়া আরবে প্রবাস জীবনযাপন করেছিলেন। সেখানে তিনি মানুষ পাচার সহ নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন। তার মুল ব্যবসা ছিলো সৌদিয়া আরবের পাশ্ববর্তী দেশ ইয়ামেন থেকে সীমান্তপথে অবৈধভাবে মানুষ পাচার করা। সীমান্তপথে মানুষ পাচারের সময়ে তাকে গ্রেফতার করে সেই দেশের নিরাপত্তা বাহিনী। পরবর্তী সময়ে সেই দেশের একটি আদালত মোহাম্মদ সেলিমকে ৫বছর সাজা দেন।
তিনি আরও বলেন, মোহাম্মদ সেলিম সৌদি কারাগারে জেলকাটছেন খবরটি পেয়ে আমি ছুটে যাই। মুলত পেকুয়া উপজেলার সন্তান হওয়ায় আন্তরিকতার সহিত তার মামলাটি দেখাশোনা করি। কারাগারে সেলিমের সাথে কথা বলে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল থেকে বাহির করি। মানুষ পাচারের দায়ে সৌদিয়ার একটি আদালত তাকে বস্কিার করেন। তাকে কালো তালিকাভুক্ত করেন। পরবর্তী সময়ে আমি দেশে ফিরে আসলে সেলিম আমার কাছ থেকে টাকা পাবে বলে বিভিন্ন মহলে বলতে থাকে। কোন ধরনের দালালিক প্রমাণ না থাকা সত্বেও তদন্তকারী কর্মকর্তা আমার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিয়েছেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা পেকুয়া উপজেলা আনসার ও ভিডিপি’র কর্মকর্তা তছলিমা আক্তার বলেন, সৌদিয়া আরবের ঘটনা হলেও স্থানীয় শালিশকার ও স্বাক্ষীদের রোয়াদাদের ভিত্তিতে মামলার প্রতিবেদন দিয়েছি। আমি উভয়পক্ষকে ডেকেছি। বিবাদী না আসলে আমার করার কী আছে ? অর্থের বিনিময়ে প্রতিবেদন দেইনি বলে তিনি জানান।
পাঠকের মতামত: